ভিন রাজ্যে আটকে পরা শ্রমিকদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস তজমুলের, খুশি পরিবারে


হরিশ্চন্দ্রপুর,২৭ মার্চ : 'মোর বেটাটা ভুখায় মরে যাবে, এমএলএ সাহেব বেটাটাক বাঁচা' এই কথা বলে এমএলএর কাছে গিয়ে আর্তনাদ করে উঠলেন এক বৃদ্ধা মা। জানা যায় ২৩ মার্চ সারা ভারতবর্ষ জুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রক্ষার্থে ২১দিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন জারি করেছে। যার ফলে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক।পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলেও আতঙ্কে কাটছে দিন।‌ অনেকে ট্রেনের টিকিট কেটেও রিটার্ন করেছে। ২৩ মার্চ থেকে ট্রেন সহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মজুত টাকা ও রেশন প্রায় শেষ হয়ে পরেছে।

এমন চরম পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের এলাকার প্রশাসন থেকে শুরু করে বিধায়ক, মুখিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন বলে জানা যায়।

তজমুল হোসেন জানান হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাসহ মালদা জেলার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও খবরটি জানিয়েছে বলে জানা যায়।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব না হলেও এলাকার বিধায়ক ও প্রশাসন মারফত খাওয়া ও থাকার সুব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যায়।

তিনি আরো জানান  শ্রমিকদের বাসস্থান,খাদ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হোক, এমন আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য-প্রার্থনা করেন শ্রমিকরা।
সেই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতেই শ্রমিকদের অসহায়ের কথা ভেবে ১৮  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে তিনি আবেদন  জানিয়েছেন, এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের সাহায্যার্থে যেন  এগিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি। তাঁদের খাবার, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয়  জিনিসপত্র দিয়ে সাহায্য করেন। যেমনটা তিনি নিজেও এখানে আটকে পড়া  ভিনরাজ্যের কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা করছেন।

রিপোর্ট:মহ: নাজিম আক্তার ও সফিকুল আলম
Previous Post Next Post