মাদক ট্যাবলেটসহ মোট ৬জনকে গ্রেফতার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ
কিন্তু প্রতীক্ষালয় না থাকার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। বিশেষ করে বর্ষায় বৃষ্টিতে এবং গ্রীষ্মের প্রখর রোদে ঝুঁকি নিয়ে অন্য কারো দোকানে আশ্রয় নেন যাত্রীরা।স্থানীয় নিত্যযাত্রীরা বলেন, একসময় এখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় ছিল। সংস্কারের অভাবে সেটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। প্রায় ১৫-২০ বছর আগে ভেঙে পড়েছে প্রতীক্ষালয়টি। তারপরে আর নতুন করে প্রতীক্ষালয় নির্মাণ হয়নি। প্রতীক্ষালয়ের সামনের অংশটি দখল করে বসে আছে চা দোকানিরা। প্রতীক্ষালয়ের জায়গাটিতে তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্মাণ করে দিয়েছে সুলভ শৌচালয় ।প্রতীক্ষালয়ে বসার জায়গাটি অযোগ্য হয়ে পড়েছে।স্কুল-কলেজ,অফিসে যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কলেজ পড়ুয়ারা বলেন, প্রতীক্ষালয় না থাকার কারণে বিভিন্ন দোকানে বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সবসময় তা সম্ভব হয় না। তাই প্রতীক্ষালয়টি নতুন করে তৈরি করা হলে আমাদের খুবই সুবিধা হবে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের বেহাল অবস্থার বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসুকে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি। আমারা চাই নতুন করে নির্মাণ করা হোক এই প্রতীক্ষালয়টি।” এই প্রসঙ্গে স্থানীয় আরো এক মহিলা জানান, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে রাস্তায় আটকে পড়লে আশ্রয় নেওয়ার মত জায়াগা নেই। তাই এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি যদি পুনরায় নির্মাণ করা হয়, তাহলে এলাকায়বাসীরা উপকৃত হবে। অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, “সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে বিষয়টি জানতে পারলাম। তার জন্য ধন্যবাদ জানাই সংবাদ মাধ্যমকে। ১৫-২০ বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে তুলসিহাটা বাস স্ট্যান্ডে প্রতীক্ষালয়টি। বিষয়টি দ্রুত উপর মহলকে জানিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। লিখিত কোনও অভিযোগ পেলে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে।