৭২ ঘন্টায় খুনের কিনারা করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

সৌজন্যে তনুজ জৈন আজবাংলা হরিশ্চন্দ্রপুর:
--------------------------------------------------------------
৭২ ঘন্টায় খুনের কিনারা করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নিজের পিসির ছেলেকে নিজের টোটো তে করে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মদ খাওয়ান, তখন নেশায় বেসামাল ভাইয়ের মাথার পিছনে দায়ের কোপ মারতেই লুটিয়ে পড়ে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর আরও কয়েকবার সারা। শরীরে কোপানাে হয়। তারপর ভাইয়ের দেহ হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লকে মনােহরপুর গ্রামে মাখনার জলাশয়ে ফেলে টোটো নিয়ে বাড়ি ফেরেন দাদা।

কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে দিনমজুর উত্তম সাহাকে খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার হলেন দাদা প্রদীপ সাহা। শুক্রবার নিহতের শ্রাদ্ধের দিনই তার মােবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে দাদাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ধৃত প্রদীপ সাহা ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তােলার পর তাকে পাঁচদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধারের টাকা শােধ না করায় ভাইকে খুন করেছে বলে ধৃত দাবি করেছে। তবে পুলিশের দাবি, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে ঘটনার দিন ছাড়া আগেও ধৃতের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার রেকর্ড মিলেছে। ফলে ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল সেসব খতিয়ে দেখতেই ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ওই খুনের তিনদিনের মাথায় তার কিনারা হওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় খুশি

এলাকার বাসিন্দারা|হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, শুধু ধারের টাকা নিয়ে বচসা নাকি অন্য কারণে
খুন, তা নিশ্চিত হতেই ধৃতকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি।গত বুধবার সকালে মনােহরপুর এলাকায় মাখনার জলাশয় থেকে উত্তম সাহার দেহ উদ্ধার হয়। ধন্দে পড়ে পুলিশ। শুক্রবার নিহতের মােবাইলের। কললিস্ট খতিয়ে দেখতেই জট ছাড়াতে শুরু করে। এরপর প্রদীপকে থানায় নিয়ে এসে টানা জেরা করতেই একসময় ভেঙে পড়ে সে। কীভাবে ভাইকে

খুন করা হয়েছে তাও পুলিশকে জানান ধৃত প্রদীপ।পুলিশ জানায়, পেশায় টোটোচালক ধূতের বাড়ি রামপুরে। মঙ্গলবার
রাতে লখনউপাড়ার বাসিন্দা ভাইকে নিয়ে সে তুলসিহাটা এলাকায় যায়। ধৃতের দাবি, উত্তম তেমন কাজ করতেন বলে তার কাছে হামেশাই টাকা ধার করতেন। কিন্তু ধারের টাকা শােধ দেননি। নেশা করে তা নিয়ে বচসার সময় ক্রোধে সে ভাইকে খুপিয়ে খুন করে বলে দাবি করেছে। যদিও পুলিশের সন্দেহ, আগাম পরিকল্পনা করেই উত্তমকে খুন করা হয়। আর সেজন্যই তাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Previous Post Next Post