ব্যাহত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন। একদিকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, অন্যদিকে ট্রেন বন্ধ। এই সংকটের জেরে নাজেহাল এলাকাবাসী। এলাকার বিদ্যালয় অফিস গুলিতেও হাজিরা অনেক কম। যে সমস্ত
নিত্যযাত্রী মালদা থেকে বিভিন্ন অফিসে চাকরি করতে আসেন, অথবা যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা মালদা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চাকরি করেন, মালদা কাঠিয়ার লােকাল ট্রেনের বন্ধের কারণে তাদেরও হাজিরা ছিল নগণ্য।
হরিশ্চন্দ্রপুরের পর এবার ভালুকা রেল স্টেশনে ট্রেনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা
এদিকে ভালুকা তে সিগনালিং ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে একটি মেন লাইন দিয়ে মালগাড়ি পাস করানাে হচ্ছে, সেটিওম্যানুয়াল সিগনালিং- এর মাধ্যমে। বিভিন্ন ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে
টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। এদিকে ট্রেন চলাচল না থাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন খা খা করছে। স্টেশন সংলগ্ন বাজারেও কোন যাত্রীবাহী গাড়ি কিংবা দোকানপাট
খােলা নেই। পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে উত্তর নেই কারও কাছে। গত দুইদিন যাবত লােকাল ও এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন।বাতিল করা হয়েছে।
ট্রেন যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অসুবিধায় পড়েছে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ও। এলাকার হাট-বাজারগুলােতে তেমন ভিড় চোখে পড়ছে না। হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন মাস্টার নিমাই
মণ্ডল জানালেন, আগামীকাল থেকে কাটিহার মালদা রেল যােগাযােগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আজ বিকেলে ৫৫৭০২ কাটিহার থেকে মালদা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে শিয়ালদা কলকাতা
হাওড়া যাওয়ার সমস্ত এক্সপ্রেস চালানাে হবে বলে জানালেন নিমাই বাবু। রেল সূত্রে জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়ি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে
যাবে।