হরিশ্চন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

উৎসাহ উদ্দীপনা আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান হলো। বুধবার কলেজ মাঠে সারা দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান করা হয়।
বুধবার সকাল থেকেই নবীন শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরিপাটি হয়ে কলেজে আসতে শুরু করে। পাশাপাশি আসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনে কলেজে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমে অতিথিরা নবীন শিক্ষার্থীদেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে অতিথিগন একে একে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।
এদিন এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলার ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায়, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন, হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক অর্ণব চ্যাটার্জী, হরিশ্চন্দ্রপুর মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ভাইস প্রেসিডেন্ট বুলবুল খান, শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ওয়েস আলী, হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং ব্লকের ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমান ঝা, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ছাত্র পরিষদের চেয়ারম্যান সনু ভাস্কর, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের টাউন প্রেসিডেন্ট দূর্জয় দাস সহ অন্যান্যরা।


মালদার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সততার নজির গড়লেন।

হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অর্ণব চ্যাটার্জী ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন," শুধু ভাল ছাত্র-ছাত্রী হলেই চলবে না, সকলকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। সন্ত্রাসের মাধ্যমে আজকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আরও একটি শপথ করি-কোনো রকম নেশার সাথে আমরা নিজে জড়াবো না।'
অন্যদিকে মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ভাইস প্রেসিডেন্ট বুলবুল খান বলেন, সকলকে দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন ভারত গড়তে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নতুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। উপস্থিত নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা কলেজের ও দেশের ভবিষ্যৎ। সেজন্য তোমাদের অভিনন্দন জানাই। তোমরা শুধু মেধাবী হলেই চলবে না, নিজেকে সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।"


মালদায় বিপত্তি ঘটলো তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে।

আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাচ, গান, কৌতুক দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে তোলেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। গানের সুরে আর নৃত্যের তালে তালে উপস্থিত দর্শকরা নিজের আসন ছেড়ে হেলে-দুলে নাচতে থাকে।এমন দৃশ্য ধারণ করার জন্য সকলে মোবাইল, ক্যামেরা আর ডিএসএলআর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
Previous Post Next Post