হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকের তুলসিহাটা জিপির পশ্চিম কুরিয়া গ্রামে৷ আগুন নেভানাের কাজে প্রথমে গ্রামবাসীরা হাত লাগিয়েও নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেননি।খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল বাহিনীকে। দমকল বাহিনী পৌঁছানাের
আচেই প্রায় ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অমন ফসলীর
অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কুস্তরিয়া এলাকায়। “ধানে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি একজন দুষ্কৃতি
সত্যি সত্যি যে আকাশ থেকে টাকার বৃষ্টি ।এমনটাই হল কলকাতায়।
গৃহস্থ চাষী দীপক সাহা জানান, প্রায় ১০ দিন আগে শ্রমিকরা ধান কেটে জমিতে ফেলে রাখে। ধান গুলি শুকিয়ে গেলে জমির পাশেই এক আমবাগানে ১০ বিঘা জমির ধান পালা করে রাখেন। বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকদের ধান ঝাড়ার কথা থাকলেও তার আগেই দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে তার সব ধানে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযােগ। এখন সারাবছর কিভাবে সংসার চালাবে তার চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে ওই চাষীর। দীপক সাহা আরাে জানান, দুই ভাইয়ের ধান এক জায়গায় পালা করে রাখা ছিল। এলাহাবাদ ব্যাংক থেকে দেড় লক্ষ টাকা কে.সি.সি কৃষি লােন নিয়ে দুই ভাই দীপক সাহা ও দুলাল সাহা এবছর ধান লাগিয়েছিলেন। ধান বিক্রি করে ঋণ পরিশােধ করার কথা থাকলেও এখন কিভাবে ঋণ শােধ করবে তা ভেবে কোন কিনারা পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।
হরিশ্চন্দ্রপুর বিডিওর গাড়ির ধাক্কায় উল্টে গেল ছাত্র-ছাত্রী বােঝাই সাইকেল ভ্যান।
দীপক সাহা আরাে জানান, এদিন শ্রমিকরা তার বাড়িতে ধান ঝাড়ার জন্য আসলে সেও শ্রমিকদের সঙ্গে আমবাগানে
যায়। বাগানে আসতেই আগুন দেখে সে চমকে যাই। চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় গ্রামের ৪ দুষ্কৃতী অাগুন লাগিয়ে পালাচ্ছিল। একজনকে গিয়ে দৌড়ে ধরে ফেলে খবর। বৃহস্পতিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় চার দুষ্কৃতীর নামে অভিযােগ করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এক দুষ্কৃতীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, চাষী দীপক সাহা থানায় অভিযােগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে ধরা হয়েছে, ৩ জন অধরা তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অনুমান করা হচ্ছে আগুন লাগানাের আগে দুষ্কৃতীরা কেরােসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়েছে৷